শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
জাতীয় বীমা দিবস আজ।প্রতিবছর ১ মার্চ সারা দেশে দিবসটি পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে এবারও বিভিন্ন আয়োজন হাতে নিয়েছে সরকার এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বীমা দিবসের আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ প্রোগ্রামে অংশ নেবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতির অভিযোগের কারণে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেনকে মূল অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসতে এবং বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেছিলেন। ফলে দিনটিকে প্রতিবছর বীমা দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় এ খাতের উদ্যোক্তারা। সরকারও এর অনুমোদন দিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা হলেও করোনার কারণে এবার অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার।’ বীমা দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বীমার গুরুত্ব ও সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বীমা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতার দেখানো পথই আমরা অনুসরণ করছি। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। পুরাতন বীমা আইন-১৯৩৮কে রহিত করে সময়োপযোগী ‘বীমা আইন-২০১০’ এবং ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০’ প্রণয়ন করে বীমা অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে ‘বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ গঠন করা হয়েছে। বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রবাসী কর্মী বীমা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি মোকাবিলায় হাওড় এলাকায় সীমিত পরিসরে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা চালু করা হয়েছে।’